ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’কে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দোষী সাব্যস্ত

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’কে হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাইমুর জাকারিয়া রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার প্রস্তুতি নেয়ার অভিযোগে বুধবার ওল্ড বেইলি কোর্টে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

এনডিটিভি জানায়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’কে হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে গত বছরের ২৮ নভেম্বর নাইমুর জাকারিয়া রহমান নামের ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ব্রিটিশ পুলিশের দাবি, টেরেসা মে’র ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের অফিসের ফটকে বিস্ফোরণ ঘটানো এবং ভবনের ভেতরে ঢুকে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছিল নাইমুর। ছুরি, পিপার স্প্রে এবং সুইসাইড ভেস্ট ব্যবহার করে তাকে হত্যা করতে চেয়েছিল উত্তর লন্ডনের ২০ বছর বয়সী বাসিন্দা নাইমুর।

ব্রিটেনের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নাইমুরের এক চাচা আইএস সদস্য। সে সিরিয়ায় ছিল। তার সঙ্গে নাইমুরের যোগাযোগ ছিল। সেই মূলত নাইমুরকে ব্রিটেনে হামলা চালাতে প্ররোচনা দিয়েছে। দুই বছর ধরে এ হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল নাইমুর। তবে গত গ্রীষ্মে এক ড্রোন হামলায় তার সেই চাচা মারা যায়।

ব্রিটিশ আইনজীবীদের অভিযোগ, চাচার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল নাইমুর। এর অংশ হিসেবে টেরেসা মে’কে লক্ষ্য করে সে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নাইমুর এফবিআই ও ব্রিটেনের নিরাপত্তা বিভাগ এমআই৫ এর সহযোগিতা নিতে চেয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সে তার পরিকল্পনার কথা শাখ নামে এক ব্যক্তির কাছে জানিয়েছিল। শাখ নিজেকে আইএস’র মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। মূলত সে ছিল মূলত এফবিআই ও এমআই৫ এর কর্মকর্তা।

২০১৭ সালের নভেম্বরে নাইমুরকে গ্রেপ্তার করা হলে এই হামলার পরিকল্পনার কথা প্রকাশ পায়। দীর্ঘদিন ধরে চলা বিচারকাজ শেষে বুধবার ওল্ড বেইলি কোর্ট তাকে দোষী সাব্যস্ত করে।

আরেকটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনায় মোহাম্মদ আকিব ইমরান নামের এক ব্যক্তিকে সহায়তার অভিযোগও রয়েছে নাইমুরের বিরুদ্ধে। ২১ বছর বয়সী মোহাম্মদ আকিব ইমরান পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বলে জানা গেছে। নাইমুরকে গ্রেপ্তারের সময় আকিবকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।